রাগী মানুষদের বৈশিষ্ট্য | রাগী মানুষরা আসলে কেমন হয় !?

………রাগ বা রাগী মানুষ……..!!!

এটা বা এরা দুই প্রকারের :
i. কেউ হঠাৎ করেই রেগে যায়।
ii.আবার কেউ সহজে রাগে না।

যারা হঠাৎ করেই রেগে যায় তাদের
সাধারণত বদমেজাজিইই বলা হয়।
এই বদমেজাজি মানুষ গুলো এই
পৃথিবীতে সবচেয়ে অসহায় মানুষ।
তাদের বাহির থেকে হয়তো মনে হয়
তারা অনেক পাষাণ। এই মানুষগুলো
সবাইকে এক নিমিষে আপন করে
নিতে যেমন পটু তেমনি খুব অল্পতে
এরা কাছের মানুষ গুলোকে কষ্ট
দিতেও পারে। কস্টটা ইচ্ছে করে
দেয়না এরা। এরা ভেতর থেকে অনেক
একা। এরা আদর-ভালোবাসার
কাঙাল। এদের প্রয়োজন আলদা
যত্ন,অনেকটা ভালোবাসা।
অশান্ত মেজাজকে শান্ত করতে
পারে শুধু ভালোবাসা। কিন্তু
আমরা তো তা করিনা।
বদমেজাজি মানুষ গুলোকে
কেউ পছন্দ করেনা, কারণ
কেউ ওদেরকে বোঝেই না।
ওরা খুব অল্প সময়ে যেমন রেগে
যায় তেমন খুব অল্প সময়ে এদের
রাগ পানি ও হয়ে যায়। আর রাগ কমে
যাওয়ার সাথে সাথে এদের
অনুশোচনা শুরু হয়। অনুশোচিত হয়ে
এরা নিজেকে শাস্তি দিতে চায়।
বদমেজাজি মানুষগুলো হয় অনেকটা
আত্যহত্যা প্রবণ। এরা নিজের ভুলের
শাস্তি নিজেই নিজেকে দিতে চায়।
কোনোকিছুতেই অল্পখানিক
ধৈর্য ও এদের থাকেনা ।

এবার আসি আসল কথায়…
প্রশ্ন হলো যারা ভালোবাসার জন্য
বদমেজাজি তারা কেন এমন হয়?
উত্তর:তারা এমন হয় কারণ তারা
জন্মের পর থেকেই খুব আদরে বড়
হয়,তারা আলাদা যত্ন পেয়ে বড়
হয়,সবার কাছ থেকে প্রচুর
প্রাধান্য পেয়েই তারা বড় হয় ।
তাদের জীবনে হঠাত করে এমন কিছু
হয় যার জন্য তারা যত্নটা আগের
চেয়ে কম পায়,গুরত্বটা কম পায়,
প্রাধান্য টা কম পায় অথবা
তারা এমনটা ভেবে থাকে তখনই
তারা এমন বদমেজাজি হয়ে
উঠে,তাদের আচরণ রুক্ষ হয়ে উঠে।
তারা নিজের প্রতি অবহেলা করতে
শিখে। নিজেকে শেষ করে ফেলার
মতো সিদ্ধান্ত নিতেও
তারা ভয় পায়না ।

জীবনে যখন প্রেম নামক বস্তুটা
প্রবেশ করে তারা তখন তার
প্রেমিক/প্রেমিকাকেও জীবন দিয়ে
ভালোবাসে। সেই মানুষটার কাছ
থেকে তারা অনেক যত্ন আশা
করে,ভালোবাসা আশা করে । যখন তা
পায়না তখন ও এরা অনেক রুক্ষ হয়ে
উঠে। বিভিন্ন ভাবে রাগ প্রকাশ করে।
এরা কাছের মানুষ গুলোকে
অনেক ভালোবাসে ।
অনেক বেশি ভালোবাসে,যার
প্রকাশ করে রাগারাগি করে। এরা
শান্তভাবে যত্ন করে ভালোবাসতে
পারেনা।
এরা শুধু রাগ দেখায় সবচেয়ে
কাছের মানুষের সাথে। তারপরে
তারা নিজেরাই কষ্ট পায়। যা সেই
কাছের মানুষগুলো বোঝেনা ।

বদমেজাজি মানুষদের অনেক
ভালোবাসা প্রয়োজন, তাদের
বুঝিয়ে বুঝিয়ে সব করানো যায় ধমক দিয়ে
জায়গা থেকে নাড়ানোও যায়না।
স্নেহ-ভালোবাসা সব কঠিন
কাজ সাধন করতে পারে।
যেখানে শক্তির অপব্যায় হয়
সেখানে একবার স্নেহ-ভালোবাসা
প্রয়োগ করে দেখুন তো
ফলাফল কি আসে ।
রাগের মাথায় এরা প্রিয়জনকে
অনেক কিছুই বলে ফেলে। কিন্তু পরে
ঠিকিই তার জন্য অনুতপ্ত হয় ।
পরে এরাই সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় ।

💌 রাগী মানুষদের নিয়ে আরো কিছু কথাঃ

রাগী মানুষরা মন থেকে
ভালোবাসতে জানে ।
তারা আর যাই হোক
ভালবাসা নিয়ে অভিনয় করে না ।
রাগি মানুষদের মন খুব পরিষ্কার হয়। কারন রেগে গেলে মানুষ মনের মধ্যে জমে থাকা সব কিছু বলে দেয়। এতে মনের সব রাগ মুখের কথার সাথে বেরিয়ে আসে ।
যারা কথায় কথায় রাগ করে তাদের রাগ গুলো ও কিন্তু ক্ষনস্থায়ী। কারো উপর বেশিক্ষন রাগ করে থাকতে পারে না। রাগি মানুষ গুলো সচরাচর একটু চুপচাপ প্রকৃতির। এরা কখন রাগ করে কখন কোন কথায় কিভাবে রিয়েক্ট করে বোঝা খুব মুসকিল।

এরা যাকে আপন ভাবে তার জন্য সব করতে পারে। তবে কারো উপর থেকে যদি একবার মন উঠে যায় তাকে আর সহ্য করতে পারে না।
রাগি মানুষ গুলো মন দিয়ে ভালোবাসতে জানে। বেশির ভাগ রাগি মানুষ রোমান্টিক হয়। এরা সব সময় মুখে ভালোবাসি ভালোবাসি না বললেও মন থেকে ঠিক সত্যিই ভালোবাসে।

এরা নিজেদের প্রিয় কোনো জিনিস কারো সাথে শেয়ার করা পছন্দ করে না। ঝগড়াঝাটিও একদম পছন্দ নয় তাদের।তবে কখনও যদি রাগের মাথায় খুব বেশি খারাপ ব্যবহার করে ফেলে তাহলে পরে মনে মনে নিজেই কষ্ট পায় ।
এদের কেউ উপকার করলে তাকে কখনো ভুলে যায় না।যতটুকু সম্ভব অন্যের ভালো করার চেষ্টা করে। এরা সব সময় একা থাকতে পছন্দ করে। রাগি মানুষের মনে কষ্ট বেশি তাই তাদের একাকিত্ব ও বেশি।
এদের একবার আপন করে নিতে পারলে কখনও পর করে দেয় না। কাউকে কোনো ভাবে কষ্ট দিলে হাজার বারও ক্ষমা চাইতে পারে। একমাত্র ভালোবাসার মানুষই পারে এদের রাগ কন্ট্রোল করতে ।

💌 পৃথিবীর প্রতিটি প্রিয়জন ভালো থাকুক, ভালো থাকুক তাদের মায়ার বাঁধন/বন্ধন ।

লেখা ও সম্পাদনাঃ শরিফুল ইসলাম জুনিয়র

অনলাইন রাইটার 💌
ফেসবুক পেইজ 👍 লাইক করুন । ধন্যবাদ 💐

Leave a comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.