সিংহভাগ স্ত্রীরাই স্বামীর কাছে যে মূল্যবান জিনিসটা চায় তা হল সময়…!
দশ ঘন্টা স্ত্রীর পাশে শুয়ে থাকলে আর দুই ঘন্টা স্ত্রীর পাশে বসে মোবাইল গুতালে স্ত্রীকে সময় দেয়া হয়না।
সিনা টান করে আপনি বলতে পারেন না আমি আমার বউকে বারো ঘন্টা সময় দেই। তাহলে আপনি নিজের সাথেই ধোকাবাজি করছেন ।
মনে রাখবেন সেই পুরুষই উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম। তাহলে উত্তম হবার জন্য আপনার প্রয়াস কী জনাব….??
স্ত্রীর পাশে বসে গেইম খেলা আর কলিগদের সাথে ঘুরতে গিয়ে ফেবুতে ফটো আপলোড দেয়া…?
এই কি ন্যায়বিচার..?
কত শত নারী রাগে, ক্ষোভে, হিংসায়, ব্যথায়, আক্ষেপে, কষ্টে, যন্ত্রনায় বালিশ ভিজায় সে হিসাব কর্পোরেট পুরুষদের জানা নেই। নাহ ভুল বললাম, জানার ইচ্ছে নেই। নাহ এটাও ভুল বললাম, জেনেও না জানার ভান করে ।
আপনার সময়ের কি খুব বেশি দাম…?
একদিন মোবাইলকে সময় না দিয়ে বউ কে নিয়ে বাইরে গেলে কি হয়….?
চব্বিশঘণ্টা/ সাত দিন এই ভাবে তিরিশ দিন…. একটা মানুষ কত সময় ধরে হাড়ি পাতিলের মাঝে সময় কাটাতে পারে…?
সেই বিবেক পুরুষদের নেই…
তবে জেনে রাখুন, আল্লাহ সব দেখেন । আপনার এই অবহেলার হিসেব আপনাকে কড়ায় গন্ডায় দিতে হবে হাশরের ময়দানে। আল্লাহ বলেছেন – সেদিন একটা আড়চোখের দৃষ্টিও বাদ যাবেনা হিসেব থেকে…
স্ত্রীকে সময় দিন। বুঝুন, সে ও মানুষ। পর্দাশীলা তাই গৃহবন্দী মানুষ। তাকে সময় দিন, তার সাথে গল্প করুন, হাসুন, শেয়ার করুন সুখ দুখ। মাঝে মাঝে বাইরে গিয়ে ফুসকা চটপটি খান। আপনার সময়ের খুব ক্ষতি হয়ে যাবে না। বরং যা করলেন নিজের জন্যই, উত্তম পুরুষ হওয়ার জন্য। “আল্লাহ তো বিশ্ববাসী থেকে বে পরওয়া ।
এ পজিটিভ রক্তের অভাবে মারা যাওয়া লোকটির চল্লিশায় এ পজিটিভ রক্তধারি আত্মীয়ের সংখ্যা ২০ জন ।
-রক্তদান করতে পারতো কিন্তু সুঁইয়ের ভয়ে রক্তদান না করা ব্যক্তির গর্ভবতী স্ত্রী আজ রক্তের অভাবে সিজার আটকে আছে ।
-রক্ত দিলে দূর্বল হয়ে যাবে বলা ছেলেটা এক্সিডেন্ট করেছে তার জন্য ২ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন ।
-রক্ত দিতে বাবা মা বারন করেছে বলা মেয়েটা আজ ১ব্যাগ রক্ত খুজে বেড়াছে হন্যে হয়ে তার মায়ের অপারেশনের জন্য ।
-ও পজেটিভ রক্ত কমন ভেবে রক্তদান না করা ব্যক্তিটি আজ রক্তশূন্যতায় ভূগছে কিন্তু রক্ত পাচ্ছেনা ।
-রক্ত লাগবে পোস্ট গুলো ইগনোর করা মেয়েটা আজ তার বাবার জন্য “ও নেগেটিভ রক্ত লাগবে” লিখে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করছে ।
-ব্যস্ততা দেখিয়ে রক্তদান না করা ব্যক্তিটির মেয়েটি থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। প্রতি ২মাস পর পর ১ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয় ।
আর নয় রক্তদানে অজুহাত, আমাদের রক্তের প্রয়োজন প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো ভাবে প্রয়োজন পড়ছে… আসুন আমরা সবাই রক্তদানে এগিয়ে আসি ।
★ হুজুরপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,কবর প্রতিদিন পাঁচবার উচু আওয়াজে বলে:–
১] আমি নিজর্নতা ও একা ঘর তুমি সাথী নিয়ে আসিও..সেই সাথী হলো প্রতিদিন কুরাআন শরীফ তেলাওয়াত করা।
২] আমি অন্ধকার ঘর তুমি সাথে বাতি নিয়ে আসিও…সেই বাতি হলো রাত্রের ইবাদত।
৩] আমি মাটির ঘর তুমি বিছানা সাথে নিয়ে আসিও…তা হলো অন্যান্য নেক আমল।
৪] আমি সাপ বিচ্ছুর ঘর তুমি সাপের ঔষধ নিয়ে আসিও..তা হলো বেশি করে”বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” পড়িও এবং নিজর্নে পাপের কথা স্মরণ করে আল্লাহর দরবারে চোখের পানি ফেলিও।
৫] আমি মুনকার নাকীরের সওয়ালের ঘর তুমি জবাব দানের জন্য বেশি করে-“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু” এর যিকির সাথে নিয়ে আসিও।
★★ আল্লাহ আমাদেরকে আমলগুলো করার তৌফিক দান করুক…
লেখা ও সম্পাদনা : শরিফুল ইসলাম