গল্প : বড্ড বেশি ভালোবাসি পাগলী তোকে ツ
লেখক : শরিফুল ইসলাম জুনিয়র
পর্ব : ০৫ ( তথা শেষ পার্ট)
নীলা কাদঁতে কাঁদতে সামনের দিকে চলে গেলো!!
আমি আবারো জয়ার কাছে আসলাম দুটা কথা বলতে!!
তখন নীলা ছিলো তাই বলতে পারেনি!!
কিন্তু জয়াও আমাকে এড়িয়ে চলে যায়!!
কি করবো বুঝতে না পেরে আবারো নীলার পিছু ছুটলাম!!
নীলা একটা রিক্সা ঢেকে রিক্সায় উঠে পরলো!!
আমিও দৌড়িয়ে গিয়ে নীলার পাশে বসলাম!!
এখন নীলা আমাকে ধাক্কিয়ে রিক্সা থেকে নামানোর চ্রেষ্টা করছে!
বাট আমার শক্তির সাথে না পেরে নীলা চুপচাপ বসে রইলো!!
আমি অনেক বার নীলাকে সরি বললাম কিন্তু কোন কাজ হলো না!!
নীলা চুপচাপ অন্যদিক ঘুরে বসে রইলো!!
অবশেষে বাসায় আসলাম!!
এসেই দেখি আব্বু আম্মু নীলার বাবা, মায়ের সাথে হাসাহাসি করে কথা বলছে!!
আমি আর নীলা যেতেই আমাদের বসতে বললো!!
তারপর আব্বু,, নীলা আর আমাকে বলল : শুনো
আমরা দু ফ্যামিলি থেকে ঠিক করেছি!!
তুমাদের বিয়ে আগামী সপ্তায়!!
এতে তুমাদের কারো কোন আপত্তি আছে!!
এখন আমার তো কোন আপত্তি নেই,
তাই আমি ছোট করে ওকে বলে নিষ্পাপ শিশুর মত চুপচাপ বসে রইলাম!!
নীলা আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে রয়েছে!!
আব্বু : নীলা মা তুমি চুপ কেনো তুমার কি কোন আপত্তি আছে??
নীলা মাথা নেড়ে না বলল ‘
তার মানে নীলা আমাকে মেনে নিয়েছে “!!
আমার মনটা একদম খুশি হয়ে গেলো!!
কতটা ভালো লাগছে এখন বলে বুঝাতে পারবো নাহ্!!
আমি উপরে চলে আসলাম ফ্রেস হতে!!
আমি এটা খেয়াল করেনি নীলাও আমার পিছু পিছু আসছে!!
আমি রুমে ডুকতেই নীলা আমার কর্লার টেনে দেয়ালে আমার পিঠ আটকে দিলো!!
নীলা : জয়ার সাথে তোর কি সম্পর্ক ??
এরপর
আমি সব কাহিনি খুলে বলার পর নীলা
বলল : জয়ার টাকা আমি ফিরিয়ে দেবো কিন্ত তোকে যদি জয়ার সাথে কোন যোগাযোগ করতে দেখি তাহলে কিন্তু তিনটা লাশ পড়বে!!
প্রথমটা তোর দ্বিতিয় টা জয়ার!!
এরপর আমি নিজেই নিজেকে শেষ করে দিবো!!
আমি : আচ্ছা শুনো এসব খুন খারাপি ভালো নাহ্!!
আমি কথা দিলাম জয়ার সাথে সব রকমের যোগাযোগ অফ বাট আমার ২ টা শর্ত আছে!!
নীলা : কি কি শর্ত শুনি??
আমি : প্রথম টা হলো জয়াকে আমাদের বিয়েতে ইনভাইট করতে হবে!!
নীলা : জ্বি না তুমি আমার ঘা জ্বালানোর ব্যাবস্থা করতেছো তাই না!!
জয়া কে দেখলেই আমার ঘা জ্বলে!!
এইটা পাড়বো না দ্বীতিয় টা বলো!!
আমি : দ্বিতিয় টা হলো আমার সাথে এখন টানা এক ঘন্টা রোমাঞ্চ করতে হবে!!
নীলা : হুম এটা করা যায় বাট বিয়ে কিন্তু এখনো হয়নি সো বেশি কিছু করতে পারবো না ওকে!!
আমি : বেশি কিছু আমিও চাইনি “
তুমি যতটুকু পারবে ঐ টুকুই করো!!
আমার কথা শেষ হতে না হতেই “
নীলা আমাকে দেয়ালে ঠেকিয়েই কিস করতে শুরু করে দিলো!!
আমিও নীলার মাজায় হাত দিয়ে আরো কাছে টেনে নিলাম!!
এই ভাবে রোমাঞ্চকর ভাবে দিন কাটতে লাগলো!!
বিয়ের আগেই প্রতিদিন সকালে নীলা আমার জন্য কফি করে নিয়ে আসতো!!
আমি ঘুমিয়ে থাকলে,
আমার চুল গুলো এলোমেলো করে দিয়ে
আমার কপালে কিস করে!!
আরো যা যা করা লাগতো সব করতো আমার ঘুম ভাঙাতে!!
রাতের বেলা দুজন মিলে ছাদে আড্ডা হতো প্রতিরাতেই!!
খুব দারুন সময় কাটছে,
বলতে গেলে আমার লাইফের বেষ্ট মুহূর্ত ছিলো তখন!!
যখন নীলার সাথে ছাদে আড্ডা দিতাম!!
কথার ফাকে ফাকে আমি সিগারেট খেতাম!!
জাস্ট নীলার বুকনি শুনার জন্য!!
এক রাতের আড্ডায় নীলা বলল : আচ্ছা বিয়েটা কদিন পরে করলে হয় নাহ্!!
আমি : কেন এখন কি পবলেম!!
নীলা : না তেমন কোন পবলেম না কিন্ত।
এখন যেমন সময় কাটাচ্ছি বিয়ের পর কি এমন সময় কাটাতে পারবো!!
আমি : পারবো না কেনো!!
অবশ্যই পারবো!!
নীলা : এখন যেমন লাভ করো বিয়ের পর কি এমন লাভ করবে??
আমি : বিয়ের পর এর থেকে বেশি লাভ করবো সোনা!!
নীলা : আমার কেমন যেনো মনে হয় বিয়ের পর আমাকে আর এমন ভাবে লাভ করবে না!!
নীলার কথা শুনে আমি নীলার ঠোঁটে কামুড় দিতেই!!
নীলার ঠোটঁ একটু ছিড়ে গেলো!!
আসলে আমি এটাই চেয়ে ছিলাম!!
এরপর বললাম : কী আরো সন্দেহ করবে!!
নীলা : নাহ্!!
আমি : মনে মনে তো ঠিকও সন্দেহ করছো তাই নাহ্!!
নীলা : একদম না নাহ্ ” তুমি অনেক ভালো মন থেকেই বললাম!!
আমি : এক কামুড় খেয়েই এই অবস্থা!!
আরো কত কামুড় খেতে হবে ঠিক নেই!!
নীলা : কী!!
আমি ; জ্বী!!
নীলা : ওকে এখন থেকে তাহলে আমিও কামুড় দেবো!!
আমি : ওকে কোন সমস্যা নেই!!
দেখতে দেখতে বিয়ের দিন চলে এলো!!
বিয়েতে আমি বাইক নিয়ে গিয়েছি!!
নীলাকে বউ সাজিয়ে আমার বাইকের পিছনে বসিয়ে আমাদের বাসায় নিয়ে আসলাম!!
সবশেষে ”
বাসর রাতে ঢুকতেই দেখি নীলা বিয়ের শাড়ী গহনা এসব খুলে!!
একটা ট্রি-শার্ট আর প্লা জু, না কি যেনো বলে ঐ গুলো পরে নাক ডেকে ঘুম দিচ্ছে!!
এই জন্যই মাঝে মাঝে মনে হতো,
নীলাকে দেখা যায় ভদ্র কিন্তু ও অনেক বড় মাপের দুষ্টু!!
শখের সময় মাজা টান দিয়ে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে!!
আমি নীলাকে অনেক ডাকাডাকি করলাম!!
কিছুতেই উঠাতে পারলাম নাহ্!!
কারন ঘুমন্ত মানুষ কে উঠানো যায় বাট ঘুমের ভাব নিয়ে শুয়ে থাকা মানুষ কে কখনো উঠানো যায় নাহ্!!
শেষবার ডাক দিলাম এখন না উঠলে আমিও ঘুমিয়ে পড়বো!!
কপাল ভালো ছিলো কারন শেষ বার যখন নীলাকে ডাক দিলাম!!
তখন নীলার চোখ দুটো বন্দ ছিলো কিন্তু নীলা মুচকি মুচকি হাসছিলো!!
কি শয়তান মেয়ে রে বাবা!!
এরপর হঠার করেই ঐ ভাবেই আমাকে জরিয়ে ধরলো!!
আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই!!
যাইহোক ভালোই লাগছিলো!!
নীলা কে বললাম : ওগো শুনছো??
নীলা : হুম!! ( মাথা নেড়ে)
আমি : আজ অনেক প্যারা দিয়েছো এখন তুমাকে বুঝাবো প্যারা কি জিনিস এবং কত প্রকার,
এইবলে আমি লাইট অফ করে দিলাম!!
লাইট অফ মানে গল্পও শেষ, নাকি আরো শুনতো চান!! নাহ্ থাক আর শুনতে হবে নাহ্, কারন আমার মত আরো অনেক সিংগেল অসহায় ভাই – বোন আছে!!
তাদের মনে আগুন জ্বলে উঠবে ” আমার মনেও আগুন জ্বলে বাট পানি খেয়ে সাথে সাথে আগুন টা নিভিয়ে ফেলি!!
আপনারাও নিভিয়ে ফেলবেন কেমন!!
সমাপ্ত