Watch “বাংলাদেশ ক্রিকেট প্লেয়ারদের মনোমুগ্ধকর সেজদা সেলিব্রেশন | Sajda Celebration | Cricket Celebration” on YouTube

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন 👆

ধন্যবাদ 💐

তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ নিয়ে কিছু কথা —

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ দেখার জন্য যারা খুব এক্সাইটে‌ড তারা হয়তো জানেন না এর ভয়াবহতা কি হতে পারে!?

আমেরিকা বরাবরের মতো মাথাব্যাথা একদম পছন্দক করেনা ।

ইরানের কাসেম সোলাইমানি ছিলেন
আমেরিকা সবচেয়ে বড় মাথাব্যাথা ।
আমেরিকার অনেক বড় বড় ষড়যন্ত্র
কাসেম সোলাইমানি পুরোপুরি
ভেঙ্গে দিয়েছিলেন ।
আর আমেরিকা তার মাথাব্যাথা
সরাতে ৬ কোটি ৪০ লাখ ডলারের

‘ এনকিউ নাইন রিপার ‘ ড্রোনকে দিয়ে
কার্য সম্পাদন করিয়েছে । যেটা কাসেম সোলাইমানির গাড়িকে ২৩০ কি. মি . দূর থেকে হামলা
চালিয়েছে ।

এই ড্রোনটির বিশেষত্ব
হল এটা যদি একবার জ্বালানি ভরে
তাহলে ১ হাজার ৮০০ কি. মি. এলাকা
পর্যন্ত হামলা চালাতে পারে । যার
গতি ঘন্টায় ৪৮২ কিলোমিটার।
এদিকে জাতি হিসেবে ইরানীরা হল
তুখোড় প্রতিবাদী। সে/তাঁরা ঠিকই তার
প্রতিশোধ নিবে। অলরেডি অপারেশন
শহীদ সোলাইমান নামে আল আসাদ
ঘাঁটিতে ১৭ টি মিসাইল হামলা
চালানো হয়ে গেছে এবং ইরান
ঘোষণা ও দিয়ে দিয়েছে ইরানে
নেক্সট কোন হামলা হলে আরব
আমিরাত দুবাই ও ইসরায়েলের হাইফা
শহর উড়িয়ে দেয়ার ।

মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা হচ্ছে বহিরাগত
শক্তি আর বর্তমানে ইরান বিমান
বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্রে বিশ্বের ৪র্থ
পরাশক্তি। বিশ্বের রাশিয়ার পর ২য়
দেশ হিসেবে ইরানের রয়েছে
গাইডেড এবং পিন টার্গেট ব্যলস্টিক
মিসাইল প্রযুক্তি আর ইরানের সেজ্জিল
ক্ষেপনাস্ত্রের গতি হচ্ছে ম্যাক ১৪
তাহলে চিন্তা করে দেখুন এই দুই
দেশের মধ্যে যুদ্ধ হলে কি পরিমাণ
ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
অন্যদিকে আমেরিকার কাছে উত্তর
কোরিয়াও একটি বড় মাথা ব্যাথার
কারণ। এদের মধ্যে আবার বাম হাত
ঢুকাবে রাশিয়া। সেখানে জোর
কাটাতে চাচ্ছে চায়না। আবার
ওদিকে পাকিস্তান সুবিধা নিতে
চাইবে যা ভারত কখনো দিতে চায়
না ।

পৃথিবীতে এখন নানা ধরনের দ্বন্দ্ব
কিংবা সংঘাত চলছে এবং এর সাথে
নানা দেশ জড়িত।
এক ধরনের শীতল যুদ্ধ এরই মধ্যে শুরু হয়ে
গেছে।
একটা আরেকটা শিকলের মতো সাথে
নিয়ে টান দিবে।
এখানে বাংলাদেশ হল স্যান্ডউইচের
মাঝখানে লেপ্টে থাকা চীজের
মতো । যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ দেখে
পৃথিবীর মানুষ তাহলে সাইড ইফেক্ট
কিন্তু আমাদের মতো ছোট ছোট দেশ
গুলোতে চরম মাত্রায় আসবে।
আমরা অবশ্য সুবিধাপার্টি। খালি দল
পছন্দ করি আর দূর থেকে মজা নেয়। ঠিক
ব্রাজিল আর্জেন্টিনা কিংবা
ইন্ডিয়া পাকিস্তান খেলার মতো ।

কিছুদিন আগে যখন আমেরিকা কাশ্মীর
ইস্যু নিয়ে ভারতের নিন্দা জানালো
তখন আমরা দলে দলে আমেরিকা
সাপোর্ট করেছি, তারপর আমেরিকা
ইরান যখন লাগল এখন আমরা ইরানের
সাপোর্টার এর আগে যখন ইরান সৌদি
আরবে হজ্ব নিয়ে কথা বললো তখন
আমরা সৌদির পক্ষে নিয়েছি। এখন
সৌদিআরব ইরানের ব্যাপারে
আমেরিকাকে সাপোর্ট দিতে গেলে
আমরা সৌদির বিপক্ষে দলে চলে
যাবো।
আপনি জানেন বাগদাদসহ ইরাকের
বিভিন্ন শহরে প্রায় দুই লাখ
বাংলাদেশী শ্রমিক রয়েছে। শুধু
ইরানে আছে দশ হাজারের বেশি
বাংলাদেশী ।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোই
বাংলাদেশের বড় শ্রম বাজার।
সেখানে কোনো অংশে খারাপ
পরিস্থিতি হলে ঐ দেশগুলোতে থাকা
আমাদের শ্রমিকদের ওপর তার
নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। যা
একটা দেশের সরাসরি অর্থনীতির উপর
প্রভাব ফেলবে।
এদিকে বাংলাদেশে জিনিসপত্র
হুদাই হলেও দাম বেড়ে যায়। এর মধ্যে
যদি ইরান আমেরিকা যুদ্ধ শুরু করে দেয়
তাহলে তেল আর স্বর্ণের দাম
আকাশচুম্বী হবে। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ
দেখবে বাংলাদেশ ।

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে কতো মানুষ মারা
যাবে একবার ভেবে দেখুন। পুরো
বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর কাছে
যে পরিমাণ অস্ত্র ভান্ডার রয়েছে তা
একটা ছিটেফোঁটাও যদি বাংলাদেশে আঁচড়ে পড়ে তাহলে
বাংলাদেশের অস্তিত্ব নিমিষেই
মানচিত্র থেকে গায়েব হয়ে যাবে 😕
তাই এতো এক্সাইটেড হয়েন না ।

দোয়া করেন যেনো শান্তিতে থাকতে
পারেন, যুদ্ধ যেনো না দেখতে হয় ।

তবে, আশার বাণী হচ্ছে- আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে ডিক্লেয়ার এসেছে । তারা জানিয়েছেন যে, তারা ইরানের সাথে কখনোই যুদ্ধ কামনা করেন না ।

তারা আরো বলেছেন, পরমাণু নির্ভর দুইটি দেশের মধ্যে যখন যুদ্ধ হবে তখন শুধু সৈন্য এবং সাধারণ জনগণ নয় দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ।

তাই আমরা এই যুদ্ধ আশাকরি না —

আল্লাহ তা’আলা আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী টাকে অনেক কাল পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখুক – শান্তি,সমৃদ্ধি,একতায় ।