বির্যের উৎপত্তি সম্পর্কে কোরআন কি ভুল তথ্য দিয়েছে!?

বির্যের উৎপত্তি সম্পর্কে কোরআনের বাণী । ফাইল ফটো 📸

প্রশ্নঃ বির্যের উৎপত্তি সম্পর্কে কোরআন কি ভুল তথ্য দিয়েছে!?

আত-তারিক ৮৬:৬

خُلِقَ مِن مَّآءٍ دَافِقٍ

তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি হতে। আত-তারিক ৮৬:৭

يَخْرُجُ مِنۢ بَيْنِ ٱلصُّلْبِ وَٱلتَّرَآئِبِ

এটা নির্গত হয় পৃষ্ঠদেশ ও পঞ্জরাস্থির মধ্য হতে ।

অথচ বিজ্ঞান বলছে বীর্যের উৎপত্তি হয় অন্ডকোষ থেকে ।

উত্তরঃ প্রথমে বীর্য নির্গত হওয়ার ব্যাপারে কোরআনের আয়াতের ইউসুফ আলী সহ অন্য কয়েকজনার অনুবাদ দেখিঃ
ইউসুফ আলী লিখেছেন,
He is created from a gushing fluid,
Proceeding from between the backbone and the ribs,
মহসীন খান লিখেছেন,
He is created from a water gushing fort,
Proceeding from between the back-bone and the ribs,
পিকটিল লিখেছেন,
He is created from a gushing fluid
That issued from between the loins and ribs.
আরবেরী লিখেছেন,
he was created of gushing water,
issuing between the loins and the breast-bones.

💐 এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি এই আয়াতে, বীর্যনির্গত হওয়া কিংবা বীর্য তৈরি বা উৎপাদন হওয়ার কোন কথা নেই। বরং বলা আছে Proceed, ডিকশনারী অনুযায়ী begin a course of action ।

অর্থাৎ কোরআনে এই আয়াতে বীর্য প্রসেস কোথা থেকে শুরু বা Proceed হয় এটাই শুধু বলা হয়েছে।
এবার আসুন আমরা দেখি অন্ডকোষে কিভাবে বীর্য উৎপাদন এর কাজ শুরু হয়।
অন্ডকোষে ( testis) বীর্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত রক্ত ও স্নায়ুর সংযোগ (Blood supply, Nerve supply)।
অন্ডকোষের রক্ত সন্চালন হয় Testicular Artery নামক রক্ত নালীকা দ্বারা যা লাম্বার lambar L2 লেভেল থেকে তৈরী হয় এবং যা মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্যবর্তী একটি স্থান।

ঠিক একই ভাবে অন্ডকোষের স্নায়ুর সংযোগ ( Nerve supply) আসে Paraaortic ganglia থেকে যা অবস্থান করে মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্যবর্তী একটি স্থানে।
অর্থাৎ একথা পরিষ্কার যে অন্ডকোষে বীর্য তৈরির কাজ Proceed বা শুরু হয় এমন দুটি স্থান থেকে যাদের অবস্থান মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্যবর্তী একটি স্থানে। আর কোরআন সেই কথাই বলেছে ।

🌀 তাই এখানে সাইন্টিফিক ভুল নয় বরং আছে সাইন্টিফিক মিরাকল ।
এবার অনেকে হয়ত প্রশ্ন করতে পারে কোরআন কেন সরাসরি অন্ডকোষের কথা বলল না ? এমন কেন বলল না He is created from a gushing fluid, created from testicles ?
জবাব হচ্ছে যদি কোরান এমন বলতো, তবেই মুলত কোরান সাইন্টিফিকভাবে ভুল হত । কারন মানুষ শুধুমাত্র পুরুষের বীর্য থেকে সৃষ্টি হয় না। নারীর বীর্যেরও প্রয়োজন হয় । পুরুষের বির্যে থাকে শুক্রাণু আর নারীর বির্যে থাকে ডিম্বনু । আত-তারিক ৮৬:৬

خُلِقَ مِن مَّآءٍ دَافِقٍ

He was created from a fluid, ejected,
আয়াতটিতে ‘ fluid ‘ দ্বারা পুরুষ ও নারী উভয়ের বীর্য কে বোঝানো হয়েছে।

🍁 তাই কোরআন সবথেকে পার্ফেক্ট ও উত্তম কথাটিই বলেছে ।মূর্খ নাস্তিকরা না বুঝে কুরআন না বুঝে বিজ্ঞান । কুরআনের বৈজ্ঞানিক আয়াত গুলো বুঝতে হলে অবশ্যই বিজ্ঞান সম্বন্ধে গভীর জ্ঞান রাখতে হবে্য।
কারণ- কোরআন নাজিল হয়েছে মহাবিজ্ঞানী আল্লাহর পক্ষ থেকে ।

বস্তুত নাস্তিকদের মাথায় গোবর ছাড়া আর কিছুই নেই …

লেখা ও সম্পাদনা : শরিফুল ইসলাম

Leave a comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.